কলকাতার মেট্রো রেলের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আজ শহরবাসীর অন্যতম প্রধান পরিবহন ভরসা। এর নেপথ্যে রয়েছে এক দীর্ঘ পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা। ভারতের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কলকাতায় একাধিক মেট্রো করিডরের পরিকল্পনা ও অনুমোদনের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন- “এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তকে যেমন জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বিমানবন্দর, দমদম, সেক্টর ফাইভ – সবকিছুকে এক মহানাগরিক মেট্রো গ্রিডে যুক্ত করার জন্য ব্লুপ্রিন্ট তৈরি, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং সময়মতো কাজ শুরু করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”
যে প্রকল্পগুলোর সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরে:
- টালিগঞ্জ–গড়িয়া মেট্রো
- দমদম–গড়িয়া মেট্রো
- দক্ষিণেশ্বর–দমদম সংযোগ
- সল্টলেক–হাওড়া করিডর
- ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর রুট বাস্তবসম্মত পরিবর্তন
- কলকাতায় মেট্রো রেলওয়ের একটি পৃথক জোন গঠন (সারা ভারতে ২১তম নতুন জোন)
- বিশ্বমানের স্টেশন তৈরির ঘোষণা
আজ একটু স্মৃতি-তাড়িত হতে দিন।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 22, 2025
ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে কলকাতায় অনেকগুলি মেট্রো রেল করিডরের পরিকল্পনা করা ও অনুমোদন দেবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তকে (যেমন – জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর,…
পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকেও মেট্রো প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে জমি দেওয়া, রাস্তা তৈরি, বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন – এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয় যাতে প্রকল্পে কোনো ধরনের জটিলতা না আসে। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নেতৃত্বে একাধিক সমন্বয় বৈঠক করে নির্বাহী সংস্থাগুলির মধ্যে কার্যকর সমন্বয় বজায় রাখা হয়েছিল।
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট – রেলমন্ত্রী হিসেবে পরিকল্পনা করার পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই পরিকল্পনাগুলি মাঠপর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের সৌভাগ্যও তাঁর হয়েছে।
আজ কলকাতার মেট্রো পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ শহরের জীবনযাত্রাকে নতুন দিশা দিয়েছে। এই যাত্রাপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
Image & Video Credit : x.com/KunalGhoshAgain
