মুম্বই ও দক্ষিণ ভারতের একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা যেমন হিন্দি ছবির “তারে জামিন পার”, “হিঁচকি”, “অঁরি” কিংবা তামিল ছবির “মোঝি” ও “নন্দালালা” – বারবারই দেখিয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম কিংবা মানসিক ও শারীরিক অসুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনী। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জীবনের সংগ্রাম এখানে যেন এক অনবদ্য ইতিকথার আকারে ফুটে উঠেছে। সিনেমার পাশাপাশি গল্প, কবিতা ও উপন্যাসেও উঠে এসেছে এ ধরনের অসংখ্য উদাহরণ।
বাস্তব আর কল্পনার সংমিশ্রণে ছোট ছোট ঘটনা যখন সাহিত্যের রূপ নেয়, তা পাঠকের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে। তবে জীবনের আড়ম্বরের মাঝে যখন ব্যক্তিগত দুর্বলতা প্রকট হয়, তখন অনেকেই সমাজ থেকে সরে যেতে চান। অথচ কেউ কেউ সেই দুর্বলতাকেই শক্তিতে রূপান্তরিত করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেন। সেই পথেই এগিয়েছেন কলকাতার এক তরুণ আইন ছাত্র স্বর্ণাভ মল্লিক।
সম্প্রতি তিনি লিখেছেন ইংরেজি ভাষায় অনুপ্রেরণামূলক গ্রন্থ “দ্যা আনব্রোকেন ভয়েস”। প্রকাশের পর থেকেই বইটি আলোড়ন ফেলেছে সাহিত্যচর্চার জগতে।

বইটির মূল চরিত্র তোতলামিতে ভুগত, যার কারণে সে প্রায়শই হাসির খোরাক হতো আশপাশের মানুষের কাছে। আত্মগোপনই ছিল তার একমাত্র ভরসা। কিন্তু ভাগ্য একদিন তাকে দিল বক্তা হিসাবে কথা বলার সুযোগ। সেই সুযোগকেই আঁকড়ে ধরে ধীরে ধীরে সে ভয় কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। নিজের দুর্বলতাকে জয় করে সে এগিয়ে চলে বড় আইনজীবী হওয়ার স্বপ্নপূরণের পথে।
এই কাহিনী শুধুমাত্র এক কল্পিত গল্প নয়, বরং বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যে কোনো মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে পারে, “দ্যা আনব্রোকেন ভয়েস” তারই প্রমাণ। ইতিমধ্যেই বইটি প্রশংসা কুড়িয়েছে সাহিত্য সমাজে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছে এক অনুপ্রেরণার দিশারি।
বলা যায়, সিনেমা হোক বা সাহিত্য – জীবনের দুর্বলতাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে স্বপ্নপূরণের লড়াই সর্বদাই মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে নতুন আশার আলো।