Bong insider

গাজার কষ্টের কাহিনি: আমিরের মুখে চুমু, কাঁদানে গ্যাস, আর তারপর থেমে যাওয়া শ্বাস

5.76K আন্তর্জাতিক 2 months ago

গাজা : এক শিশুর মুখে শেষবারের মতো মায়ের চুমু, এরপর বাতাসে ছড়িয়ে পড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া। একপায়ে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টায় ছোটে সে—আর ঠিক তখনই গুলির শব্দে স্তব্ধ হয়ে যায় ছোট্ট এক জীবনের আশা। এই শিশুটির নাম আমির। বয়স হয়তো সাত কিংবা আট। কিন্তু তার জীবনের শেষ মুহূর্ত হয়ে উঠেছে গাজার রক্তাক্ত বাস্তবতার এক জ্বলন্ত প্রমাণ।

প্রতিরোধ আর মৃত্যুর মধ্যে এক শৈশব

গাজার প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি ধূলিকণা যেন ভরে উঠেছে মৃত্যু ও প্রতিরোধের গল্পে। আর সেই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে আমির—যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হারিয়ে গেল যুদ্ধের বিভীষিকায়। তার শেষ দৌড়, শেষ কান্না, শেষ হাওয়া টান—সব মিলিয়ে পৃথিবী দেখল এক নিষ্ঠুর নির্মমতার নগ্ন দলিল।

চোখের সামনে থেমে যাওয়া জীবন

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যায় একদল শিশু। তাদের মধ্যেই ছিল আমির। “চোখের সামনে ছেলেটা পড়ে গেল। আমরা কিছুই করতে পারিনি,” বললেন একজন। গুলির শব্দের ঠিক আগেই মায়ের কণ্ঠে ভেসে এসেছিল—“আমির, ছুট্!”

যুদ্ধ কি কেড়ে নিচ্ছে মনুষ্যত্ব?

গাজায় শিশুরা জন্ম নেয় প্রতিরোধের গল্প শুনে, ঘুমায় ড্রোনের গর্জনের নিচে, আর অনেকেই জেগে উঠতেই পারে না। আমিরের মৃত্যু যেন সেই অগণিত শিশুর প্রতীক যারা ‘শিশু’ হওয়ার সুযোগই পায় না।

একটা শিশুর মৃত্যুর মধ্যেও যদি আমরা কেবল ‘সংখ্যা’ খুঁজি, তাহলে মানবতা কবে ফিরবে?

আমিরের জন্য কোনও বর্ণাঢ্য শেষকৃত্য ছিল না। কেবল ধুলোর ভেতর তার পড়ে থাকা নিথর দেহ, আর আকাশে মিলিয়ে যাওয়া এক শিশুর স্বপ্ন।

আমির ছিল গাজার মাটি থেকে উঠে আসা এক জীবন্ত কবিতা—যার শেষ পঙ্‌ক্তি আমরা লিখে দিয়েছি রক্তে।

Latest Update